ব্লগ আর্কাইভস

ইসলামিক জ্ঞানার্জন পদ্ধতিঃ বই পড়া – ২

প্রথম পর্ব

বই পড়ার সময় করণীয়

 ১। ইসলামিক বইকে সাধারণ গল্প উপন্যাসের বইয়ের মত ধরলে চলবে না। বিছানায় না পড়ে পারতপক্ষে পড়ার টেবিলে চলে যান এবং সঙ্গে অন্যান্য সহায়ক উপকরণ (যেমন, ডিকশনারি, নোটবই, পেন্সিল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি) প্রস্তুত রাখুন যাতে করে পড়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় রিসার্চ করে নিতে পারেন।

২। ধীরে পড়ুন। কোয়ান্টিটির তুলনায় কোয়ালিটির দিকে মনোযোগ দিন। বিশেষজ্ঞদের মতে ১ ঘন্টায় কোনমতেই ২০ পৃষ্ঠার বেশী পড়া উচিৎ নয়। মস্তিষ্কে তথ্যের আধিক্য নিয়ে আসার চাইতে একটি কনসেপ্টকে ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ইসলামিক বইসমূহে চিন্তার প্রতিফলন ঘটানোর বা তাদাব্বুর করার কোন বিকল্প নেই।

৩। নিশ্চিত করুন যে বইয়ের প্রতিটি বিষয় বা কনসেপ্টকে আপনি ভালো করে বুঝে নিয়েছেন। অনেক সময় লেখক ও পাঠকের মাঝে একটি কগনিটিভ গ্যাপ থেকে যায় যার ফলে লেখক একটি বিষয়কে যেভাবে বোঝাতে চেয়েছেন পাঠক তা বুঝে নাও উঠতে পারেন। এর পেছনে লেখকের লেখনীর সীমাবদ্ধতা যেমন দায়ী হতে পারে একই সাথে পাঠকের biasness ও কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। ‘আল্লামা মুখতার আল-শানকীতী তার একটি লেকচারে বলেন যে ধরুন ত্বাহারা বা পবিত্রতার আহকামে আপনাকে বলা হলো যে পানি তিন প্রকার – ত্বাহুর, ত্বাহির ও নাজিস। আপনাকে চিন্তা করতে হবে শরী’য়ার পরিভাষায় পানির সংজ্ঞা কী। “পানি কী তা তো আমি জানিই” – এটি বললে চলবে না। Read the rest of this entry