আমার কাজে লাগবে এমন কিছু কু’রআনে আছে কি?

কু’রআন সম্পর্কে একটি প্রচলিত ধারণা হল এটি একটি উচ্চ মার্গের ধর্মীয়, নৈতিক, ঐতিহাসিক বই, যাতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বড় জটিল ব্যপারগুলোই শুধুমাত্র বলা আছে। দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন সাধারণ ব্যপারগুলোর জন্য কু’রআন নয়। যেমন আমরা কিভাবে কথা বলব, কিভাবে বেড়াতে যাবো, কি ধরণের কাপড় পরব – এসব খুঁটিনাটি ব্যপারের জন্য কু’রআন নয়। এই ধারণার কারণে অনেকেই কু’রআন থেকে না শিখে আনুসঙ্গিক কিছু ধর্মীয় বই, মনীষীর জীবনী ইত্যাদি পড়ে অনেক সময় নানা ধরণের বিতর্কিত উপদেশ শিখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ক্ষতি ডেকে আনেন; যেখানে কিনা স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করেছেনঃ Read the rest of this entry

এক নজরে যাকাত আল-ফিতর

যাকাত আল-ফিতর হল এক রকম দান। ফিতর শব্দটির অর্থ আর ইফতারের অর্থ একই, এবং এটা একই মূল, ফুতর থেকে এসেছে যার মানে হল ‘রোজা ভাঙ্গা।’ যাকাত আল-ফিতর মুসলমান সমাজের মধ্যে ভালোবাসার একটা শক্তিশালী বন্ধন তৈরী করতে সাহায্য করে। ধনীরা বছরে একটি দিন হলেও সরাসরি গরীবদের দান করে থাকে এবং সামর্থ্যবানেদের মধ্যে আরও উদার হওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকে।

(ফটো কপিরাইট)

যাকাত আল-ফিতরে রোজাদারের উপকার

ইবনে আব্বাস বলেন, রাসূল (সাঃ) যাকাত আল-ফিতর আবশ্যিক (ওয়াজিব) করেছেন যেন এটা রোজাদারের বেহুদা কথা, নোংরা ভাষা থেকে পবিত্র করে, এবং গরিবদের খাওয়ানো যায়। যে (ঈদের) নামাজের আগে এটা দান করে দেয়, এটা গ্রহন হয়ে যায়, আর যে নামাজের পর দান করে, এটা কেবল একটি সাদাকাহ (দান)। [আবু দাউদঃ ১৩৭১] Read the rest of this entry

চালু রাখুন আপনার সার্চ ইঞ্জিন শেষ দশ রাতের জন্যও

আমরা সবাই কখনো না কখনো গুগল বা অন্যান্য  সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নিয়েছি বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজের সাপোর্টের জন্য। মজার ব্যপার হচ্ছে এই সব সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজ করতে গিয়ে আমরা কিন্তু কখনো হতাশ হইনি। আমরা সেখান থেকে কিছু না কিছু প্রাসঙ্গিক জিনিস পেয়েই যাই, যা আমাদের যে কোনো প্রজেক্টের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অসাধারণ অবদান রাখে।

আপনি হয়ত মনে করতে পারেন এতে আপনার কোনো ভূমিকা নেই। আমি বলব কথাটি ভুল। কারণ প্রথমত আপনার উদ্যোগ, তারপর আপনার সময় যা আপনাকে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করে আনতে সহায়তা করেছে এত মিলিয়ন/বিলিয়ন উপাত্ত থেকে। আর অবশেষে আপনি যা পেয়েছেন তা তো আর রেডিমেড কেক ছিল না, আপনাকে তা করে নিতে হয়েছে নিজের মত করে। আমি জানিনা আপনি এভাবে কখনো ভেবে দেখেছেন কিনা। আমাদের জীবনেও কিন্তু এইরকম একটা মাস আসে, যে মাসে আমাদেরকে খোঁজ করে বের করতে হয় এমন একটা সময় যা অনেক অনেক গুন বেশী মূল্যবান। রাত জেগে, কষ্ট করে না ঘুমিয়ে, আর ইবাদতের মাধ্যমে। সেটা হল রমযান মাসের এক বিশেষ রাত “লাইলাতুল-কদর”। Read the rest of this entry

আমার কু’রআন পড়তে ভালো লাগে না


এই রমজানে আমি কু’রআনের উপর একটা কোর্স করছি যেখানে ৪ দিনে পুরো কু’রআনের মূল বিষয়গুলোর উপর একটা ধারণা দেওয়া হবে। প্রায় ৩০০ জন আগ্রহী শিক্ষাত্রী, যার মধ্যে ৯৫% তরুণ-তরুণী, সারা দিন রোযা রেখে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬:৩০ পর্যন্ত কোর্সটা করছে, অলিম্পিক দেখা বাদ দিয়ে। আমাদের এখানে রোযা বাংলাদেশের মত মজার রোযা না। আমরা রাত তিনটার দিকে সেহরি খাই এবং ইফতার করি রাত নয়টার দিকে – ১৮ ঘণ্টার রোযা। এই চরম গ্রীষ্ম কালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই রোযা রেখে যারা ৪ দিন এই কোর্সটা করছে তারা আর কিছু না হোক, নিঃসন্দেহে চরম পর্যায়ের ঈমানের অধিকারী এবং নিশ্চয়ই দিন রাত কু’রআন পড়ে। তাই কোর্সের বিরতির ফাঁকে ফাঁকে আমি তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেই এবং তাদের সবাইকে একটা সাধারণ প্রশ্ন করিঃ

ভাই, আপনি কি কু’রআন পুরোটা একবার পড়ে দেখেছেন?

উত্তর হয় দুই ধরনেরঃ

  • না ভাই, আমার এখনও পুরোটা পড়া হয় নি।

অথবা,

The Elephant in My Life: Some Lessons from Surah Feel

Do you not see how your Lord dealt with the army of the Elephant?

Did He not utterly confound their plans?

He sent flocks of birds against them.

Pelting them with pellets of hard baked clay

He made them [like] cropped stubble

[Quran, Surah Feel Ch-105. Translation by Professor MAS Abdel Haleem]

Most of us probably know of the story of Abraha and how he tried to attack and destroy the Kaaba, and then was roundly defeated by the army of Allah (which here are the birds). More often than not, reading such stories I tend to think of people other than me, as if I am some righteous man guaranteed paradise. Seeing atrocities in Iraq, Afghanistan and Palestine, I would read this Surah in Salaah and remember how Allah destroyed this one oppressor and He can surely destroy those of this day as well. However, there are lots to take from this story, and I will share just a few reflections, both personal and worldly in sha Allah. Read the rest of this entry

Islam 101: আল্লাহ কে?

বেশিরভাগ জন্মগত মুসলমান বাবা-মা নামাজ রোজা করেন সেই সুবাদে তারাও করেন। কিন্তু কাকে খুশি করার জন্য এগুলো করেন? তাঁর পরিচয় কি? তিনি কে? এসব নিয়ে কখনও পড়াশোনা করতে দেখা যায় না। মৃত্যুর আগ পর্যন্তও যে মুসলমান আল্লাহ্‌কে চেনে না তার চেয়ে দুর্ভাগা বোধহয় আর নেই। এখানে উল্লেখিত কিছু তথ্য বিচ্ছিন্নভাবে আপনার জানা থাকতে পারে, কিন্তু আল্লাহ্‌র পরিচয় হিসেবে হয়ত ভেবে দেখেননি। তো চলুন জেনে নেই আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) কে – কেন তার ইবাদত করা হয়।

আল্লাহ্‌ কোন ধর্মের ঈশ্বর?

আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) এই বিশ্বভ্রম্মান্ডের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, স্থপতি, নির্মাতা, পরিচালক, নিয়ন্ত্রক ও প্রভু।

আল্লাহ্‌ (ﷲ) আরবি শব্দ এবং ইসলামের ঈশ্বর বলে বহুল প্রচারিত হলেও পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ [মূল ধর্মগুলো] আসলে আল্লাহ্‌কেই বিশ্বভ্রম্মান্ডের একচ্ছত্র প্রভু এবং উপাসনার যোগ্য ঈশ্বর বলে মানে। কেবলমাত্র আমাদের পর্যাপ্ত পড়াশোনার অভাবে আমরা এই প্রকৃত সত্যটি জানি না।

হীব্রু বাইবেলে খ্রীষ্টানরা [যাদের কাছে ইসা (আঃ) নবী হিসেবে এসেছিলেন] বুক অফ জবে [নবী আইউব (আঃ)] ৪১ বার আল্লাহ্‌কে তাদের ঈশ্বর হিসেবে উল্লেখিত পেয়ে থাকবেন। খ্রীষ্টানরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে আল্লাহ্‌কে  তাদের খোদা বলে মেনে থাকেন। হিন্দুধর্ম বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসের কারণে ব্যপক পরিচিত, কিন্তু হিন্দুধর্মগ্রন্থগুলো নিয়ে সত্যিকার অর্থে পড়াশোনা করলে দেখা যায় যে হিন্দু ধর্মও কেবলমাত্র একজন ঈশ্বরকেই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও প্রভু বলে স্বীকার করে নেয়। “তিনি এক ও অদ্বিতীয়,” “তাঁর কোন পিতামাতা ও কোন ঈশ্বর নেই,” “তাঁর মত কিছুই নেই,” “তিনি নিরাকার, তাঁকে কেউ চোখে দেখতে পায় না,” “তাঁর কোন প্রতিমা নেই,” “তিনি নিরাকার ও পবিত্র।“

ইহুদিরা [যাদের কাছে মূসা (আঃ) নবী হিসেবে এসেছিলেন] তাদের ঈশ্বরকে ইলোয়াহ (אלוהּ) নামে ডেকে থাকেন, যার ভাষাগত মূল হল আল-ইলাহ, অর্থঃ একমাত্র প্রভু। ভাষাগত দিক থেকে সেই আল (the) ইলাহ (God) থেকেই এসেছে আল্লাহ্‌। এমনকি শিখ ধর্মগ্রন্থেও [গুরু গ্রন্থ সাহিব] আল্লাহর [পাঞ্জাবিঃ ਅਲਹੁ] নাম ৪৬ বার ঈশ্বর হিসেবে উল্লেখ আছে।

যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাদের প্রতিপালক, তাঁকে তাবৎ দুনিয়ার সকল ধর্মের গ্রন্থে প্রভু বলে ঘোষনা করা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা), কেবল ইসলামের নয়, সকল ধর্মের এমনকি যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন না সকলেরই স্রষ্টা ও ইবাদতের একমাত্র প্রভু।

Read the rest of this entry

সাধারণ কিছু আয়াত, অসাধারণ সব লুকানো তথ্য

কু’রআনের আয়াতগুলো ভাষাতত্ত্ববিদদের জন্য তথ্যের খনি। আল্লাহ খুব সাধারণ দেখতে কিছু আয়াতে, সাধারণ কিছু গল্প বা কথোপকথনের মধ্য দিয়েই অসাধারণ সব তথ্য প্রকাশ করেন। যেমন, নিচের আয়াতটি দেখুন যেখানে আল্লাহ আমাদেরকে একটি স্ত্রী পিঁপড়ার একটি মাত্র কথার মধ্য দিয়ে পিঁপড়াদের সম্পর্কে কত ধরণের তত্থ্য দিয়েছেনঃ

আর যখন তারা পিঁপড়াদের উপত্যকায় পৌছিয়েছিল, একটি পিঁপড়া(স্ত্রী) বলেছিল, “হে পিঁপড়ারা, তোমাদের ঘরগুলোতে প্রবেশ কর, যাতে করে সুলায়মান এবং তার বাহিনী তোমাদেরকে না বুঝে পিষে না ফেলে”। (২৭:১৮)

আপনার কাছে মনে হবে, এতো ছোটদের কোন গল্পের বইয়ের লাইন মনে হচ্ছে। পিঁপড়া আবার কথা বলে নাকি? এখানে পিঁপড়াদের সম্পর্কে আল্লাহ নতুন কিই বা জানালেন আমাদেরকে যেটা আমরা জানি না?

লক্ষ্য করুন, এই আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে পিঁপড়াদের সম্পর্কে কতগুলো তথ্য দিয়েছেনঃ Read the rest of this entry

জনপ্রিয় লেখকের মৃত্যু ও আমাদের গোয়েন্দাগিরি

বাংলাদেশে সম্প্রতি অতি জনপ্রিয় একজন লেখক মৃত্যুবরণ করেছেন। আপনারা সবাই তার নাম জানেন বলাই বাহুল্য। আমি তার নাম উল্লেখ করছি না কারণ আমি চাইনা যে পাঠকের দৃষ্টি বা মন লেখার মূল পয়েন্টের বাইরে পড়ে থাকুক। এই টেকনিক কতটা কাজে আসবে বুঝতে পারছি না। কারণ হুজুগে বাঙ্গালি বাস্তবিকই হুজুগের বাইরে মনঃসংযোগ করতে পারে না – এটা আমার দীর্ঘদিনের উপলব্ধি। আশা করি এই লেখাটি পড়ার সময় পাঠক তার হুজুগেপনাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন। সংযমের মাসে এটা খুব কষ্টসাধ্য হওয়ার কথা নয়।

লেখকের মৃত্যুর পর আমি খেয়াল করলাম যে দু’দল মানুষ তার ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন। একদল তার ইতিহাস ঘেঁটে তার ‘মুনাফিকী’র ফিরিস্তি বের করে নিয়ে এসেছেন। আরেকদল পারলে শাহজালালের মাজারের মত আরেকটি মাজার বসিয়ে দেন তার কবরের ওপর। লেখকের কাজের সাথে আমার পরিচয় আছে। তার ধর্মীয় চিন্তা আমাদের প্রচলিত সমাজ ও তার ধ্যান-ধারণারই প্রতিফলন। সময়ে সময়ে তার লেখায় ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি ভালোবাসা যেমন প্রকাশ পেয়েছে তেমনি বিভিন্ন কাজে তার ইসলামি বিষয়সমূহে ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ তো আর রোবট নয়, রক্ত মাংসের মানুষের যেমন ঈমান ওঠা নামা করে তার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। পার্থক্য একটিই, তিনি জনপ্রিয় লেখক বলে তার ধ্যান-ধারণা আমজনতার বিকেলের নাস্তার খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা যারা ইসলামমনা তাদের একটি বড় দায়িত্ব ছিল লেখকের ভুল-ভ্রান্তি তার জীবদ্দশায় ধরিয়ে দেয়া। সেটা যখন আমরা করতে পারিনি তখন তার মরদেহকে  জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠানোর পবিত্র দায়িত্ব আমাদের নেয়ার দরকার নেই। এর জন্য বেটার অথরিটি আছে, আমাদের এত উতলা হওয়ার প্রয়োজন কী? তার পারলৌকিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের অতিরিক্ত মাথা ঘামানো আমাদের হুজুগেপনার কফিনে আরেকটি পেরেক। এটি শেষ পেরেক নয়। শেষ পেরেক অনেক আগেই কফিনে বসে গেছে। তার পরেও আমরা পেরেক ঠুকেই চলেছি! Read the rest of this entry

আরবি না বুঝে নামায পড়ার ফজিলত!

আমরা যারা আরবি বুঝি না, নামায পড়াটা আমাদের কাছে একটি অনুষ্ঠান মাত্র। আমরা ভুল আরবিতে কিছু অর্থহীন আপত্তিকর শব্দ করি, হাত পা উঠা নামা করি, উপর-নীচ হই, ডানে-বামে তাকাই – আর ধরে নেই চমৎকার আল্লাহর ইবাদত করা হল। আরবি যাদের মাতৃভাষা, তারা যখন আমাদেরকে কিছুই না বুঝে আরবিতে নামায পড়তে দেখে, তখন তারা বড়ই অবাক হয় – কেন আমরা কিছুই না বুঝে এরকম একটা কাজ দিনের পর দিন করে যাচ্ছি? যেখানে তারা বুঝে শুনে নিজের মাতৃভাষায় আল্লাহর কথা স্মরণ করছে! একটা উদাহরণ দেই,আমরা যখন বলি – কুলহু আল্লাহু আহাদ – এর বাংলা করলে দাঁড়ায় – খাও, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। “কুল” অর্থ “খাও”। “কু’ল” (গলার ভিতর থেকে কু বলা) অর্থ “বল”। প্রতিদিন আমরা কত বার না বুঝে বলে যাচ্ছি – খাও, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় – এই ধরে নিয়ে যে নামাযে আমরা বেশ কিছু ভালো কথা বলছি, কিন্তু কি যে বলছি তা না জানলেও চলে, আল্লাহ বুঝলেই হল। আপনার সাথে যখন কোন আরব নামায পড়বে এবং আপনি ইমামতি করবেন, সে আরব বেচারা কি কষ্ট করে হাসি এবং রাগ চেপে রেখে আপনার সাথে নামায পড়বে, কখনও ভেবে দেখেছেন কি?

ধরুন আল্লাহ চাইনিজ ভাষায় কু’রআন নাযিল করেছেন। শেষ নবী ছিলেন একজন চাইনিজ এবং ইসলামের প্রচার হয়েছে চায়না থেকে। আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে কান পর্যন্ত হাত তুলে জোরে জোরে বলছেনঃ

চেন্‌ চুন্‌ শি চুই্‌ ওয়েদা

ব্যপারটা আমরা, বাঙালিদের কাছে, কতখানি হাস্যকর চিন্তা করে দেখুন। ঠিক একই ভাবে আরবদের কাছে আমাদের আরবিতে নামায পড়া, দোয়া পড়াটাও একই রকম হাস্যকর ব্যপার। Read the rest of this entry

আপনার ডেইলি লাইফ আর রমযান মাসের একটি দিন

এই রমযান মাসে আপনি কি করছেন? কিভাবে রমযান মাসকে আপনি সাজাচ্ছেন? এখনতো রমযান আপনার ঘরের মধ্যে; নিজের মধ্যে কোনও পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন কি? নিজেকে একদম অন্যরকম মনে হচ্ছে না?

হ্যাঁ, আপনি নিজেকে একেবারে বদলে ফেলেছেন। একটু লক্ষ্য করে দেখুনতো; রমযান শুরু হওয়ার আগের দিনগুলোতে আপনি কেমন ছিলেন আর এখন কেমন আছেন? এই রমযান মাসে আপনি অনেক কিছু ভাবছেন কোনও কিছু করার আগে। মনে হচ্ছেনা যে; এই কাজটা করলে আপনার রোযার সমস্যা হবে, ওই কাজটা করলে আল্লাহ নারাজ হবেন। আসলে কি জানেন আপনি এমনটাই ভাল যেমনটা আপনি রমযান মাসে থাকেন। খুব অবাক লাগছে না, এই কথা শুনে? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন –

“আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা রমযান মাসে শয়তানকে বেঁধে ফেলেন”

আর যার জন্য মানুষ এই মাসে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে এবং ভাল ভাল কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তার মানে এই কথাটা থেকে কি বুঝা যায়না, আমরা শয়তানকে আমাদের ডেইলি লাইফে কত প্রশ্রয় দেই? তা না হলে আমাদের তো খারাপ কাজ করার কথা ছিলনা। আসুন দুইটি রিয়েল লাইফ সিনারিও দেখার চেষ্টা করি।

আমাদের সমাজের মেয়েরা যারা ঘরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে থাকে কিন্তু সঠিক ভাবে হিজাব রক্ষা করে না। কার জন্য আমরা এত সেজেগুজে হিজাব ছেড়ে বের হই? নিজের জন্য না, অন্য কাউকে দেখানোর জন্য। আসলে আমরা মাথায় কাপড় দিতে লজ্জা পাই, আবার অনেকে আল্লাহর এই বিধানের ব্যপারে এতই অবাধ্য যে জেনেও আমরা না জানার ভান করি। কারন মানুষ কি বলবে এই ব্যপার নিয়েই আমরা বেশি চিন্তিত। হিজাব করতে আমাদের লজ্জা লাগে কিন্তু চুল খোলা রাখতে বা শরীর দেখাতে লজ্জা লাগেনা; হাস্যকর! আবার অনেক মেয়েকে দেখা যায় হিজাব পরে আছে কিন্তু টাইট ড্রেস পরা।

কিন্তু আমরা যদি একটু ভেবে দেখি তাহলে দেখব Read the rest of this entry