Category Archives: Inspirations

আমরা কি সবকিছু বুঝে পড়ি ?

একদিন এক মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম সেইখানে আমার পাশে এক মুস্লল্লী খুব সুন্দর কুরআন তেলাওয়াত করছেন, তিনি সূরা ইয়ুসুফ এর কিছু অংশ তেলাওয়াত করলেন। অসাধারণ তেলাওয়াত শুনে আমরা আশেপাশে সবাই মুগ্ধ। এর মধ্যে একজন বুজুর্গ সেই মুসল্লীকে বললেন “আপনি খুব সুন্দর তেলাওয়াত করেছেন কিন্তু আপনিতো ইয়ুসুফ (আঃ) কে কুয়াতে ফেলে রাখলেন উনাকে কুয়া থেকে বের করলেন না কেন”। আসলে এর মধ্যেমে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন কুরআনের অর্থ বুঝে পড়লে তেলাওয়াতে যেমন পরিপূর্ণ রুপ দেওয়া যায় তেমনি এর থেকে অনেক সুফল নেওয়া যায়।

প্রতিদিন আমাদের অনেক কিছুই পড়তে হয়; যা আমাদের শুধু পড়লেই হয়না তা বুঝে আমাদের অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উদাহারনস্বরূপ যিনি ইংলিশ স্পোকেন ক্লাশ করছেন তার কাছে ইংরেজী সংবাদপত্র পড়ে শব্দতালিকা তৈরী এবং তা বুঝার চেষ্টা করা। একজন গবেষকের কাছে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত গুলোর ফলাফল পড়ে তা থেকে বুঝার চেষ্টা করা পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে। এইরকম আরও অনেক উদাহারণ দেওয়া যাবে যা থেকে খুব সহজেই প্রমানিত হয় মানুষ সবকিছু বুঝতে চেষ্টা করে। এটিকে তাহলে আমরা মানুষের মস্তিষ্কের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া বলতে পারি। কিন্তু কুরআন বুঝার বেলায় আমরা কেমন যেন উদাসীন। আমাদের দেশে যদি জরিপ চালানো হয় তাহলে দেখা যাবে ৯৫% বাসায় বাংলা অথবা ইংরেজী অর্থসহ কুরআন পাওয়া যাবেনা। অথচ বাইরের দেশে অনেক অমুসলিমরা এই কুরআন এর অর্থ বুঝে তার থেকে অনেক উপকার পাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আরও অনেক কিছুতে। Read the rest of this entry

জুম’আর নামায হতে পারে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের অনুপ্রেরনা

আমরা সাধারণ মুসলিমরা প্রতিদিন অনেক ভাল কাজ করি, যেমন আমাদের পরিচিতদের আমারা সালাম দেই, মা বাবার সাথে ভাল ব্যবহার করি, জুম’আর নামায পড়ি, দানখয়রাত করি। আমাদের এই ভাল কাজগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরাটাই হচ্ছে এই লেখার মূল উদ্দেশ্য। আর এর মাধ্যমে আমি চেষ্টা করব সাধারণ মুসলিমদেরকে আর একটু ভাল অথবা প্র্যাকটিসিং মুসলিম হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করতে। আর মাধ্যম হচ্ছে আমরা যে ভাল কাজগুলো করি সে কাজগুলোকেই তাদের সামনে প্রতীয়মান করার দ্বারা। এই ভাল কাজগুলোকে নিয়ে আমার এই ধারাবাহিক প্রবন্ধে কাজ করব ইনশাল্লাহ্, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের মূল লক্ষ্য স্থির করে মুসলিম জীবনের প্রকৃত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারি।

লেখাটি একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করলে হয়ত আপনাদের ভাল বুঝাতে পারব। বন্ধের দিন আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডা দেই। আর তাই এবার আমরা শুক্রবার দিনটিকে ঠিক করলাম সবাই একসাথে দেখা করব এবং কিছু কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করব বলে। যেহেতু আমরা সদ্য ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে কর্পোরেট জগতে প্রবেশ করেছি সেহেতু বুঝতেই পারছেন আমাদের কী নিয়ে কথা হতে পারে। চাকরি, বিয়ে, ঘরসংসার, প্রোমোশন এইসব রিয়েলিস্টিক ও রোমাঞ্চকর আলোচনাতে আমরা সবাই মেতে উঠলাম, তখন তা যেন থামতেই চাইছেনা। মজার কিংবা দুঃখের যাই বলেননা কেন, ব্যাপার হচ্ছে এই আড্ডার সন্ধ্যাতে আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম যে কিছুক্ষন পর ইশার নামাযের জন্য রওনা দেওয়া লাগবে। সবাইকে একসাথে পেয়ে আমি নামাযে যাওয়ার কথা বলে ফেললাম। আর তাতেই হয়েছে আমার কাল, সবাই আমাকে পেয়ে বসল এবং বলা শুরু করল “বেশ উপদেষ্টা হয়ে গেছ, তুমি যাও নামাযে, নিজের চরকায় তেল দাও” এবং এধরণের আরো অনেক কথা।  

বেশ ভালই লাগছিল তাদের কথা শুনতে, কারণ আমারও সময় আসবে। আর আমার কৌশল হচ্ছে “আগে বলতে সুযোগ দাও, তারপর আমি বলব।” Read the rest of this entry